কক্সবাজারের টেকনাফে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে অপহরণের শিকার হন এক বৃদ্ধ। পরে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় পরিবারের কাছে। এ ঘটনার ৩২ ঘণ্টা পর পুলিশের অভিযানে ছাড়া পেয়েছেন ওই বৃদ্ধ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকার কম্বনিয়াপাড়া পাহাড়ি এলাকায় অপহৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
অপহরণের শিকার শাকের আহমদ (৬০) টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার ঘোনাপাড়ার এলাকার বাসিন্দা।
শাকের আহমদের ছেলে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে বাবার সন্ধানে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোনও সন্ধান পাইনি। পরে রাতে মা (হাসিনা বেগম) বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফের খারাংখালী এলাকার কম্বনিয়াপাড়া পাহাড়ি এলাকায় পুলিশের অভিযানের মুখে দুর্বৃত্তরা আমার বাবাকে ছেড়ে দিয়েছে। উদ্ধারের পর বাবাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। দুর্বৃত্তরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে।’
এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে প্রতিদিনের মতো শাকের আহমদ স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। পরে নামাজ শেষ হলেও বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে রাতে তার স্ত্রীর নম্বরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে অপহরণের কথা জানিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার ব্যাপারে রাতেই স্বজনরা টেকনাফ থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে অপহৃতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের অভিযানের মুখে মঙ্গলবার দুপুরে অপহৃতকে দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি এখন নিজের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তাকে (শাকের আহমদ) জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের অধিক সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৯৩ জন।
পাঠকের মতামত